Our Latest News

...
Social insurance is needed to protect workers

বর্তমানে বাংলাদেশকে দেখা হয় বিশ্বের পোশাক সরবরাহকারী হিসেবে। ২০১৭ সালে যার রফতানি পরিমাণ ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার এবং এই মোতাবেক দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক এবং বৈশ্বিক গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম বড় সরবরাহকারী। প্রায় সাড়ে চার হাজার কারখানায় বর্তমানে আনুমানিক চার মিলিয়ন লোক নিয়োজিত আছে।

বিষয়টি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করায় সাম্প্রতিক সময়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিকদের অধিকার এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয়ে বেশ ভালো উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যদিও এখনো এই খাতে আরো অনেক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। বড় বড় শিল্প দুর্ঘটনাগুলো; যেমন ২০১২ (২৪ নভেম্বর ২০১২, তাজরিন ফ্যাশন এর অগ্নিকাণ্ড) এবং ২০১৩ (২৪শে এপ্রিল ২০১৩, রানাপ্লাজা ধস) ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগের ঝুঁকি থেকে শ্রমিক পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়।

এমনকি রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৭ বছর পার হওয়ার পর এখনো বাংলাদেশ সর্বাঙ্গীণ ইমপ্লোয়মেন্ট ইনজুরি ইনস্যুরেন্সের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। ফলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা বৈশ্বিকভাবে অনুমোদিত আইএলও কনভেনশন ১২১-এর ইমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইনস্যুরেন্স (ই আই আই) এর সুবিধাগুলো পাচ্ছে না যা তাদের প্রাপ্য।

এমনকি শীর্ষ ২০ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যার ইআইআই এবং কোনো প্রকার সামাজিক বিমার সুবিধা নেই।

বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে অবগত এবং শ্রমজীবী শ্রেণীর জন্য একটি কর্মসংস্থান ক্ষতি রক্ষা প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যার সার্বিক পদক্ষেপের আওতায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে প্রতিরোধ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ খাত অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে, আইনি কাঠামো, প্রশাসনিক কাঠামোর পাশাপাশি একটি বিধিবদ্ধ কর্মসংস্থান ক্ষতি সুরক্ষা প্রকল্পের রোল আউটয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এখনো কার্যকর হয়নি।

জিআইজেড এবং আইএলও দেশে কর্মসংস্থান ইনজুরি বীমা (ইআইআই) প্রকল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সরকার এবং সামাজিক অংশীদারদের একত্রে কাজ করার জন্য সহযোগিতা করে আসছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি জি আই জেড এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে ই আই আই স্কিম পরিচিত করার লক্ষে বিভিন্ন অংশীদারের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে সামাজিক ঐক্যমত গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ইআইআই সম্পর্কিত সচেতনতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। যেখানে উচ্চ-স্তরের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বেশ কয়েকটি EII প্রস্তাবের সংস্পর্শে এসেছে, কিন্তু এখনো শ্রমিক, যারা কিনা EII প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাভোগী তাদের মধ্যে এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের মধ্যে এ বিষয়ে জ্ঞান এবং বোঝার অভাব রয়েছে।

সোশ্যাল প্রটেকশন বা সামাজিক সুরক্ষা হলো একটি মানবাধিকার যা জীবনচক্রের দারিদ্র্যতা দূরীকরণ ও রোধ, সামাজিক দুর্বলতা এবং অবজ্ঞা ঠেকাতে বিভিন্ন নীতিমালা এবং প্রোগ্রামের সেট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

সামাজিক সুরক্ষার আওতায় যেসকল ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায় তা হলো শিশু এবং পরিবার , মাতৃত্ব, বেকারত্ব, কর্মসংস্থান দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, বার্ধক্য, অক্ষমতা, বেঁচে থাকা এবং স্বাস্থ সুরক্ষা। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো অবদানমূলক স্কিমগুলোর মিশ্রণ দ্বারা এই সমস্ত নীতি ক্ষেত্রগুলোকে সম্বোধন করে।

সামাজিক বীমা একটি প্রতিরোধমূলক ধারণা, যেখানে সরকার দুর্বল ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার জন্য হস্তক্ষেপ করে। একটি সামাজিক বীমা প্রোগ্রাম সাধারণত অবদানমূলক। সাধারণত কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা, স্বাস্থ্য, বেকারত্ব এবং পেনশন সামাজিক বীমা প্রকল্পগুলো অন্তর্ভুক্ত।

...
Regarding occupational health and safety of workers

আজ ২৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস। ২০০৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আই এল ও) এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ড এবং ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধস ও ব্যাপক প্রাণহানির পর বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে। মূলত রানা প্লাজা ধসের বিষয়টি স্মরণে রেখে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার, আহত বা নিহত শ্রমিকদের পেশাগত ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে দিবসটি পালন হয়ে আসছে।
শ্রম আইন ২০০৬ এর ৫১ হতে ৯৯ ধারা সমূহে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রম আইনের উক্ত ধারা সমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কলকারখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, শ্রমিকদের যাতে স্বাস্থ্য হানি না ঘটে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ও যথাযথ তাপমাত্রা বজায় রাখা, প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য অন্তত ৯.৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করা, পান করার জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, মহিলা এবং পুরুষ শ্রমিকদের জন্য পৃথকভাবে সৌচাগার ও প্রক্ষালণ কক্ষের ব্যবস্থা করা মালিকের দায়িত্ব। একই সাথে শ্রমিকের ক্ষতি হতে পারে এমন কোন ভারী জিনিস উত্তোলন, বহন অথবা নাড়াচাড়া করতে না দেয়ার ব্যাপারেও শ্রম আইনে উল্লেখ রয়েছে।
শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্নি দুর্ঘটনার কারণে অথবা অন্য কোন জরুরি প্রয়োজনে বহির্গমনের জন্য প্রত্যেক তলার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্তত একটি বিকল্প সিঁড়িসহ বহির্গমনের উপায় এবং প্রত্যেক তলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা উচিৎ।
কাজ চলাকালীন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কোন কক্ষ হতে বহির্গমনের পথ তালাবদ্ধ বা আটকে রাখা যাবে না। কোন দরজা স্লাইডিং টাইপের না হলে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তা বাইরের দিকে খোলা যায়, অথবা যদি কোন দরজা দুটি কক্ষের মাঝখানে হয়, তাহলে তা ভবনের নিকটতম বহির্গমন পথের কাছাকাছি দিকে খোলার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বহির্গমনের পথ বাধাগ্রস্ত কিংবা পথে কোন প্রতিবন্ধকতাও তৈরি করা যাবে না।
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ বহির্গমনের জন্য ব্যবহৃত পথ ব্যতীত অগ্নিকাণ্ডকালে বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করা যাবে- এরূপ প্রত্যেক জানালা, দরজা বা অন্য কোন বহির্গমন পথ স্পষ্টভাবে লাল রং দ্বারা বাংলা অক্ষরে অথবা অন্য কোন সহজবোধ্য প্রকারে চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, এতে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককে অগ্নিকাণ্ডের বা বিপদের সময় তৎসম্পর্কে হুঁশিয়ার করার জন্য, স্পষ্টভাবে শ্রবণযোগ্য হুঁশিয়ারী সংকেতের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কক্ষে কর্মরত শ্রমিকগণের অগ্নিকাণ্ডের সময় বিভিন্ন বহির্গমন পথে পৌঁছার সহায়ক একটি অবাধ পথের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পঞ্চাশ বা ততধিক শ্রমিক/কর্মচারী সম্বলিত কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করতে হবে, এবং এই বিষয়ে মালিক কর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় একটি রেকর্ড বুক সংরক্ষণ করতে হবে।
কোন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক যদি দেখতে পান যে, উহার কোন ভবন বা যন্ত্রপাতি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে এবং তা যে কোন সময় কোন শ্রমিকের শারীরিক জখম প্রাপ্তির কারণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে তিনি অবিলম্বে লিখিতভাবে মালিককে অবহিত করবেন। মালিক অবহিত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে তৎসম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে এবং উক্ত ভবন বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে কোন শ্রমিক যদি জখম প্রাপ্ত হন তাহলে মালিক, অনুরূপ জখম প্রাপ্ত শ্রমিককে দ্বাদশ অধ্যায়ের অধীন উক্তরূপ জখমের জন্য প্রদেয় ক্ষতিপূরণের দ্বিগুণ হারে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন।
কোন কর্মক্ষেত্র বিশেষ করে যন্ত্রপাতি বা কাজের ধরন ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে, নিয়োগ কর্তাকে সর্বপ্রথমে ঝুঁকি সমূহ দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে শ্রমিকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় সচেতনতার অভাবে কিংবা অনভ্যাসের কারণে শ্রমিকরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই শ্রমিকদেরকে ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ব্যবহারের গুরুত্ব অবহিত করণ পূর্বক নিয়মিত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমন শ্রমিকদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের মধ্যে রাখতে হবে। যদি কোন শ্রমিক পেশাগত রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। এমন কি কোন প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত নয় কিন্তু পূর্বে কাজ করার কারণেও যদি কোন শ্রমিক পেশাগত রোগে আক্রান্ত হন অথবা আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে হয়, তাহলে শ্রম আইনের ধারা ৮২(২) মতে উক্ত শ্রমিকের চিকিৎসার দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তার। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রে কোন নতুন নিয়োগ দেয়ার আগে ঝুঁকি সম্পর্কে শ্রমিককে অবহিত করে নিয়োগ দান করা প্রত্যেক নিয়োগ কর্তার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শ্রম আইনের ১৫১ ধারা ও তফশীল ৫ অনুসারে কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিক মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা এবং স্থায়ীভাবে সম্পূর্ণ কর্ম অক্ষম হলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আংশিক অক্ষম হলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ, অস্থায়ীভাবে কাজ করতে অক্ষম হলে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত শ্রমিক মজুরি পাবে। তবে প্রথম ২ মাস পূর্ণ মজুরি, পরবর্তী ২ মাস দুই তৃতীয়াংশ এবং পরবর্তী ৮ মাস অর্ধেক হারে মজুরি পাবে। আবার পেশাগত রোগে আক্রান্ত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত অর্ধেক হারে মজুরি পাবে। কিন্তু শ্রম আইনে বর্ণিত ক্ষতিপূরণ সমূহ আন্তর্জাতিক মানের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই শ্রম আইনে বর্ণিত প্রদেয় ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে খড়ংং ড়ভ ণবধৎ ঊৎধৎহরহম, ঝঁভভবৎরহম ধহফ চধরহ এর ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিৎ বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে। এই ধরনের ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্তৃক প্রস্তাবিত ঊসঢ়ষড়ুসবহঃ ওহলঁৎু ওহংঁৎধহপব বাস্তবায়ন খুবই জরুরি বলে মনে করি।
জাতিসংঘ ২০১৬ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নির্ধারিত সময় সীমার এক তৃতীয়াংশ সময় অতিবাহিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি লক্ষ্যের ৮ নম্বর লক্ষ্য হচ্ছে শোভন কাজ বাস্তবায়ন। শোভন কাজের অন্যতম শর্ত হচ্ছে কর্মক্ষত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে – জীবনের জন্য কাজ, কাজের জন্য জীবন নয়।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয়ের প্রতি মালিকপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয় মূলত মূলধনী খরচ বা বিনিয়োগ। এটা কখনোই অতিরিক্ত খরচ বা অপচয় নয়। নিরাপদ কর্ম পরিবেশ শুধু শ্রমিকের জীবন বাঁচায় না উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য যে কোন ধরনের খরচ বা বিনিয়োগ, দীর্ঘমেয়াদে তা শিল্পেরই লাভ। আন্তর্জাতিক পেশাগত ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিবসে রাষ্ট্র ও মালিক পক্ষ এ বিষয়টি যথাযথভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হবে এমনটিই সবার প্রত্যাশা।

...
How far is the permanent structure of compensation system in workplace accidents?

‘জীবন এমন ভয়ংকর আর বিভীষিকাময় হবে, কোনো দিন ভাবতে পারিনি; শরীরের যন্ত্রণা আর অভাব জীবনটাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। খোদা যদি একেবারে নিয়ে যেতেন তাহলেই বেঁচে যেতাম।’ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির আট বছর পরে আহত আমেনা বেগম এমন বিষাদের কথা বলছিলেন। তিনি কাজ করতেন ওই ভবনের ফেন্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায়।

ভবন ধসে মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে অচল হয়ে পড়া মো. সোলায়মান বলছিলেন, ‘প্রথম দিকে এনাম মেডিক্যাল ও সিআরপিতে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর চিকিৎসা নিতে পারিনি।

ক্ষতিপূরণ হিসেবে যা পেয়েছি তা দিয়ে কোনো রকমে চিকিৎসা করিয়ে, পরিবারের জন্য খরচ করে সবই শেষ। তারপর ধারদেনা করে চলছে। ওই সময় সরকার ও মালিকরা স্থায়ী চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ এখন খবর রাখে না।

’ সোলায়মান কাজ করতেন রানা প্লাজার নিউ ওয়েভ স্টাইল নামের পোশাক কারখানায়।

এমন অবস্থার মধ্যে আজ ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের শিল্প খাতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০১৩ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবন ধসে এক হাজার ১৩৭ জন নিহত এবং দুই হাজার ৪৩৮ জন আহত হন। তাঁদের বেশির ভাগই ওই ভবনের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক।

দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে তাঁরা দান-অনুদান পেয়েছিলেন। রানা প্লাজা ট্রাস্ট তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন। আহতদের বেশির ভাগ শ্রমিকই এখন নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় ভুগছেন। দুর্ঘটনার পর যে টাকা তাঁরা পেয়েছিলেন সেটা দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়।

ওই দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ বিষয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

রিট করে কয়েকটি সংগঠন। কিন্তু সেই আইনি প্রক্রিয়া থেমে আছে। শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে—এমন বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন শিল্প দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণে স্থায়ী কাঠামো করার প্রস্তাব দিলেও সেটা এখনো হয়নি। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে দুই লাখ এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, যা বতর্মান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় মোটেও পর্যাপ্ত নয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও ১২১ কনভেনশন অনুসারে নিহত ও স্থায়ীভাবে অক্ষম শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ হওয়া উচিত আজীবন আয়ের সমপরিমাণ। এই দাবির সঙ্গে একটি জাতীয় তহবিল এবং শ্রমিকদের বীমার আওতায় আনার কথা বলছেন তাঁরা। ক্ষতিপূরণের স্থায়ী কাঠামো করে সেটা শ্রমিক, মালিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা। এতে ক্ষতিপূরণের সামর্থ্য নেই—এমন মালিকদের ওপরও চাপ কমবে।

জানতে চাইলে শ্রমসচিব কে এম আব্দুস সালাম কালের কণ্ঠকে বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রম আইন সংশোধন করে ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে সেটা আবারও পর্যালোচনা বা সংশোধন করা যেতে পারে। তবে ক্ষতিপূরণের স্থায়ী কাঠামো বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব সরকারের কাছে নেই।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিভিন্ন দুর্ঘটনায় বছরে গড়ে এক হাজার শ্রমিক মারা যায়। এই শ্রমিকদের আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলে আওতায় আনা গেলে রানা প্লাজার মতো চিত্র দেখতে হতো না।’ একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একজন পোশাক শ্রমিকের মূল বেতন পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। এর ১ শতাংশ হয় মাসে ৫৩ টাকা। এখানে যদি প্রতি মাসে মালিক ও সরকার ১ শতাংশ করে জমা দেয় তাহলে ১০০ টাকা হয়। বলা হয়, দেশে ৪০ লাখ শ্রমিক আছে। একজন শ্রমিকের জন্য মাসে ১০০ টাকা হলে মাসে মোট ৪০ কোটি টাকা হয়। বছরে হবে ৪৮০ কোটি টাকা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ন্যূনতম ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিবেচনা করা হয়। এটা যদি ১৫ লাখ টাকাও ধরা হয়। বছরে যদি এক হাজার শ্রমিক দুর্ঘটনায় আহত বা জীবন হারায়, তাদের জন্য ১৫০ কোটি হলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব।’ মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এ ধরনের সুরক্ষা তহবিল রয়েছে বলে জানান রাজেকুজ্জামান রতন।

আইনে পরিবর্তন আনা জরুরি উল্লেখ করে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিপূরণের একটি মানদণ্ড ঠিক হওয়া উচিত। এতে ক্ষতিগ্রস্তের জীবন মান বিবেচনায় নেওয়াসহ দেশের মূল্যস্ফীতিও বিবেচনায় নিতে হবে। সেটা দুই থেকে পাঁচ বছর পর পর পর্যালোচানা করা যেতে পারে।

শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ ‘জানো বাংলাদেশ’-এর সমন্বয়কারী তাকবির হুদা কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ শ্রমিক বা তাঁর পরিবারের ব্যক্তিগত ক্ষতি অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত।

তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রম আইনে বর্তমানে যা আছে তা অপর্যাপ্ত হলেও আইন অনুসারে এই ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়। এটা অনেক সময় আইনের বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়েও অনেক বেশি। অনেক কারখানার মালিক এটাও দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন না। তিনি বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল এবং আইএলওর বীমা প্রকল্প নিয়ে আমরা কাজ করব। এ জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’

আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পদক তৌহিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রানা প্লাজা ট্রাস্ট তহবিলের কারণে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেয়েছিল। কিন্তু যারা স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছে সরকার, মালিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চিকিৎসা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী করার অঙ্গীকার করলেও সেই কথা রাখেনি।’

...
Survivors of Rana Plaza Collapse: 57pc still unemployed

Around 57 percent of the survivors of the Rana Plaza building collapse -- the deadliest industrial disaster in the country's history -- have remained unemployed during the pandemic, a study finds.

Meanwhile, around 92 percent of them did not get any support from the government during the pandemic, according to a survey done by ActionAid Bangladesh.

Some of the respondents received food and health and hygiene material support from local-level groups and individuals, it said. The findings of the survey were revealed yesterday at a virtual dialogue on "Covid-19: Challenges for the Rana Plaza Tragedy Survivors" organised by the ActionAid, marking the eighth year of the Rana Plaza disaster in Savar on April 24 in 2013 that left at least 1,138 people dead and 2,500 injured. The physical and mental states of Rana Plaza survivors have not improved significantly and their overall quality of life has not enhanced much in the last eight years, the survey concluded. Their conditions instead have become more miserable as the majority of them have been jobless, while the income of most of the employed survivors has decreased drastically due to Covid-19 induced economic fallout, according to the study. The survey was conducted on 200 survivors, 63 percent of whom were female. Of the employed survivors, 43 percent of them are engaged in various types of wages and self-employment where the household income of 37.5 percent is between Tk 5,001 and Tk 10,300. The majority of survivors have an average expenditure of over TK 10,000, it said. As per the survey, the physical conditions of 14 percent of the survivor are worsening and they have reported that they are still bearing with headaches, pain in arms, legs and their backs. Besides, a total of 4.5 percent survivors have improved their mental health than last year, it said. After the devastating Rana Plaza collapse, many could not return to work due to physical and mental health conditions, the study said. Speaking as the chief guest at the event, Lawmaker Shirin Akhter said the labour law should be implemented properly, while compensation laws need to be enacted.

Tuomo Poutiainen, country director of the International Labour Organisation, said, "There is a requirement to improve security and governance on labour issues and this needs institutional change. We have to create a culture of health safety for workers in factories and the government needs to enact legislation to ensure this." He also called for a new way of thinking about social security during the Covid-19 pandemic to creating new jobs. Dr Khondokar Golam Moazzem, research director of Centre for Policy Dialogue, said since the Rana Plaza collapse, there has been no positive change in the victims' lives. Despite some financial assistance, the process of reintegration of injured workers in the formal sector has not been introduced. They have to be brought under the reintegration process, he said. He called for the distribution of free health cards from the Rana Plaza Trust Fund to ensure the medical treatment of injured workers. He also proposed the provision of health insurance for the survivors. It is disappointing that Bangladesh has yet to come up with an effective employment scheme although many years of Rana Plaza collapse have passed, said Werner Lange, cluster coordinator, textile and leather of GIZ. He also emphasised introducing the Employment Injury Insurance (EII) Scheme for workers. Dr Hameeda Hossain, convener, Sramik Nirapotta Forum, urged the authorities concerned to establish a monument in the memory of the deceased workers. She also called for ensuring the safety of workers by introducing insurance schemes. Stating that about 1,000 workers die in various accidents in the country every year, Rajekuzzaman Ratan, general secretary of Somajtantrik Sramik Front, said the social security project needs to be implemented. While moderating the virtual dialogue, Farah Kabir, country director of ActionAid Bangladesh, said, "Even in eight years, the conditions of significant surviving workers are not satisfactory… We have to come out of the colonial mentality and fulfil the just demands of the workers." Accidents like the Rana Plaza collapse could happen again and that is why everyone should be made aware of insurance schemes, self-development skills or special fund formation and emergency activities, she said. Tazul Islam, senior sustainability coordinator of s Oliver and Salahuddin Bablu, business editor of SATV, also spoke among others in the virtual dialogue.

 

...
OP-ED: Employee injury insurance: A new dawn with social protection

As the news of a social protection scheme trial hits, the potential for immediate impact to 50-100 factories marks the promise of long-term gains for the whole readymade garment (RMG) sector. The new Employee Injury Insurance (EII) trial program starting in August 2021 is the first formalised and structured injury protection and compensation scheme for garment workers in Bangladesh. It enjoys strong backing from the International Labour Organization (ILO) and international development agencies, as well as other local and international stakeholders. An EII is a comprehensive and holistic approach for mitigating the effects of workplace injuries and occupational diseases by providing appropriate rehabilitation services coupled with routine financial compensation. The trial comes after years of discussions with trade unions, manufacturers, retail brands, industry advocates and government officials all eager to address occupational safety for workers in Bangladesh’s RMG industry. The movement gained momentum after the Rana Plaza tragedy in 2013 and another109 industry accidents since then, of which at least 35 happened at textile factories. Bangladesh continues to be the second largest apparel producer in the world. The country turned half a century in 2021 and has emerged strong and resolute over the years while also being hailed as a development success. Bangladesh’s growth trajectory has gone hand-in-hand with the apparel sector, built on the strength of an estimated 3.5 million strong women and men. As Bangladesh begins a journey towards a lower middle-income country, there are, however, milestones that will need to be crossed – and one of these is a comprehensive employment insurance scheme.

particular, the drive towards greater transparency in the industry reflects a growing global trend demanding better labour standards and protection of workers in supply chains. As the environmentalist and activist Edward Abbey says: “Every important change in our society, for the good, at least, has taken place because of popular pressure-pressure from below, from the great mass of people.” Public disclosure of data that enables holding decision makers accountable is the work of transparency. Transparency is the proof of practice needed to transform statements of intent to actions - and when public disclosure becomes mandatory or includes sanctions for inaccurate information or harmful practices, the playing field is levelled, and improvements scaled.

Bangladesh has spearheaded several transformational initiatives around transparency in the sector, such as the Accord and Alliance – which standardized and publicly disclosed information on workplace safety and other compliance related issues. This ushered in a new way of looking at transparency as a lever for change and highlighted the power of public disclosure. Both elements that will be critical for the EII trial. Yet this is a long journey. A report entitled "Transparency Assessment: Examining the transparency journey for the Bangladesh apparel sector" was published by Laudes Foundation in 2020. The assessment showed how transparency could practically bring about massive changes in the industry. For workers, it would mean more information about their rights and the responsibilities of their employers, while for employers, it would provide more incentive to improve, and potentially disclose their business partners’ purchasing practices. The report focused on how transparency could be promoted in Bangladesh to improve the industry and thus make it an attractive sourcing destination. It mapped each key stakeholder of the fashion supply chain on a continuum of transparency and indicated where interventions could be staged for each group. Perhaps most importantly, this report showed that parties move at a different pace and not all groups have the same learning journey. And it highlighted workers’ call for greater safety and occupational security, which essentially is what the EII is now setting out to provide. That is why this trial marks a pivotal moment for Bangladesh. But its effectiveness and ultimate success will hinge on key factors like the availability of reliable, accurate and real-time publicly disclosed data of working conditions, workers demographic and uplifting the voices of the workers’ advocates and the organisations that represent them to participate in the design implementation and monitoring of the scheme. The ground work for this has already been laid by organizations like Mapped in Bangladesh, Garment Worker Diaries and Open Apparel Industry (OAR), among others, who have made factory level primary and secondary data publicly available for the global industry to utilize. BRAC-CED’s Mapped in Bangladesh allows easy web-based access to basic factory information for all export-oriented factories in the country. Having reliable, real-time, and accurate publicly disclosed data is essential for organisations planning on implementing any kind of social protection systems, including the EII. While there are many organisations that can offer support and share their expertise to help make the EII successful. To garner effective support and ensure it is serving the millions of workers, however, a triangulated approach that amplifies worker voice and their perspectives will be needed. They must have a say on the EII rollout, have clear communication on the scope of this initiative, and do strategic advocacy around accountability mechanisms. To that effect, Laudes Foundation is partnering with the Deutsche Gesellschaft für Internationale Zusammenarbeit (GIZ) GmbH to enable workers and civil society to voice their demand for an improved compensation system in the form of an EII. A successful rollout of the employment injury insurance will not only help workers and the industry in particular, but the millions of people and their families connected to the sector. It also ties into the vision of a more equitable garment industry worldwide, where every person involved in the supply chain has a role.An integral part to building and sustaining change is in building the movements with those closest to the ground and supporting them with the necessary tools, data and skills to advocate on an equal footing. In many ways, the employment injury insurance trial marks a new chapter for Bangladesh as it joins the ranks with countries that protect their employees from workplace accidents and illnesses by offering a comprehensive protection plan. Ensuring that the trial is successful is vital for all of us striving for better living and working conditions and more security for apparel workers and their families in Bangladesh.

...
Compensation eludes workplace deaths

Coming from Bhola, Jahangir Alam had been working as a construction worker on daily wages in the capital for a long time. He fell off an under-construction building in Dhaka's Mirpur area and died after being rushed to a hospital two years ago. Jahangir's mother Tanbanu Begum approached the local chairman, police station, and labour ministry in Dhaka for compensation. "I heard the government pays Tk2 lakh as compensation. But I haven't got a single penny yet," she told The Business Standard. Hundreds of construction workers, who die in workplace accidents every year, do not get any compensation like Jahangir. Labour leaders say the government compensation requires trade union membership, but most unskilled and uneducated construction workers neither have membership nor any contract documents.

According to the Bangladesh Labour Act 2018, if any construction worker is maimed due to workplace accident, he will get Tk2.50 lakh as compensation. The amount for workplace death is Tk2 lakh. State-owned Bangladesh Sramik Kalyan Foundation will pay the compensation. According to a survey by the Bangladesh Institute of Labour Studies (BILS), there are about 37 lakh construction workers across the country. The institute says the transport sector has the highest workplace casualties in Bangladesh. Construction sector has the second highest workplace fatalities followed by the transport sector. From 2002 to August 2020, 1,745 construction workers died in workplace accidents. According to BILS, lack of modern construction equipment, poor construction platforms, helmets, gloves, and not using good quality boots, contribute to the fatality tally. According to the Bangladesh Sramik Kalyan Foundation, 134 construction workers died in workplace mishaps in 2019-20. Of them, the families of three slain workers got Tk 25,000 each as compensation. That year, the foundation did not provide compensation to any injured or paralysed worker. Labour leader Abul Hossain said most construction workers are uneducated and they work on a daily contract basis. "There is no specific law to protect them. If a worker is injured or killed, it is not possible to get compensation from the employer in most cases." Since compensation from the Bangladesh Sramik Kalyan Foundation requires trade union membership, most construction accidents go uncompensated, he added. AB Siddique Mintu, joint general secretary of the Bangladesh Sramik League, said there are two trade unions that work with construction workers. Only 3-5% of all construction workers are affiliated with trade unions.

According to the Bangladesh Bureau of Statistics, 85% of the country's workers are from the informal sector. Mintu says, "Under current labour law, 80% of workers are deprived of their rights while the most disadvantaged are the informal construction workers." Abdur Razzak, general secretary of the Imarat Nirman Shramik Union Bangladesh, said they have been advocating for workplace safety, introduction of a pension scheme and rationing system, Tk15 lakh compensation for death, and Tk20 lakh for lifelong injuries. Contacted, State Minister for Labour and Employment, Begum Monnujan Sufian, said construction workers get fewer facilities as they are not organised and the sector is mostly made up of informal workers. Monnujan said the government introduced a group insurance system for workers in 2013, but the initiative did not succeed. "Construction sector workers need a separate law. I will request the prime minister in this regard," she added. Bangladesh relies heavily on the Middle East countries for inward remittances. Photo: Hindustan Times Shakila Zerin Ahmed, director (Additional) of the Shramik Kalyan Foundation, said they compensate both institutional and non-institutional workers in the sector. "In most cases, construction workers cannot show contract papers as they are not organised," she added.

...
Institutionalising a compensation system for work-related injury and illness

Bangladesh has very recently introduced an employment injury insurance (EII) pilot scheme to ensure that workers receive medical treatment and rehabilitation services, along with cash allowances for their wage loss arising from work-related injuries and illnesses. The pilot run that just started with about 150,000 workers in 50-100 factories will continue for five years and its first phase will include testing and collection of data, and in the second phase, this scheme is planned to be expanded to the whole RMG sector. The Rana Plaza building collapse in Savar that killed more than 1,100 workers and injured 2,500 more triggered interest among many and the ministry of labour and employment (MoLE), International Labour Organisation (ILO), and GIZ (German Development Cooperation) started to collaborate to develop and implement such a scheme in the RMG sector.

Workers' compensation programmes are in existence in most industrialised countries for a long time to provide payment of lost wages, provide medical treatment, and offer rehabilitation services to workers who suffer injuries or diseases while at work. The workers' compensation statutes have some common creeds and similar sets of benefits; however, the specifics on the level and types of benefits offered and the organisational arrangements and processes in place to deliver these payments vary widely among countries.

The workers' compensation statutes provide for the expenses incurred for medical care to cure and relieve the workers from the bodily harms sustained in an injury, replacement of wages lost because of the missed days of work for the incident and recovery, and burial and dependency benefits if a worker dies from such a work-related injury or disease. Furthermore, most of these laws offer some vocational rehabilitation services for workers whose injury led to permanent or temporary functional bodily limitations that inhibit them from resuming to the occupation they held prior to the injury. Nevertheless, the amount of these assistances and the duration during which they will be disbursed vary greatly by country and sometimes within a country by provinces or states.

The core idea of workers' compensation programme is that payments would be offered to injured employees without regard to responsibility and, in response, employers would deal with limited legal liability. In other words, workers would be eligible to benefits if the injury was caused by their job, irrespective of why the injury occurred. Employers would be held responsible for certain benefits specified in the statute in exchange for the no litigations for negligence.

However, deciding on the appropriate amount of these benefits is complicated because most jurisdictions attempt to calculate a future wage loss for an individual based on the remaining physical capacity that likely affects future earnings. Methods developed, proposed, or practised for estimating future wage losses have been criticised by various quarters and there is no perfect or agreed upon method yet. In many cases, the compensation process involves litigation, which may get resolved through negotiated deals and the payment of a lump sum amount to the injured worker.

Also, not all occupational injuries and diseases are paid for by workers' compensation systems. Coverage exceptions exist in each jurisdiction (e.g., wage-loss benefits may be up to 60 or 70 per cent of the real wage, benefits can be calculated after or before tax, benefits may start only after 3 days of lost work) and differences in compensability rules eliminate some injuries and illnesses (e.g., carpal tunnel syndrome, back pain, mental health) that may be deemed work-related by clinicians. Therefore, some claims get rejected or these may be litigated and settled with lump-sum payments.

The current workers' compensation system as practised in many countries originated in Germany. Chancellor Otto von Bismarck enacted the German Sickness and Accident Laws in 1884. England followed it by adopting laws in 1897. The adoption of such laws in the US began in 1910. In fact, this was considered to be the first social insurance programme in the US. This was rapidly embraced by the rest of the country and by 1921, all but six states enacted workers' compensation legislation in the US.

Before workers' compensation statutes were implemented by countries or states, workers injured at their work who tried to recover medical expenses, lost wages, and other damages had to prove the negligence of their employer and this process was very long, costly, and had uncertain outcome-many simply could not afford the battle. Employers also came up with a number of defences to evade their liability for these incidents. The result was most of the injured workers were left with nothing at the end.

The most common defences employers used were contributory negligence, which would prevent the worker from recovering any damages if he or she contributed even in a small way to the cause of the incident;

fellow-servant doctrine, which could reduce or eliminate the employer's liability if a co-worker made a mistake; and the assumption-of-risk doctrine, which could limit a worker's recovery of damages if he or she accepted the job knowing about its hazards and hence agreed to take the risk.

Before workers' compensation laws were in place, several studies conducted suggested that many injured workers received no compensation at all under the system that was in effect. In case of mortality cases, only about half the families of victims received some payments and the average payment for the fatality was only about one year's lost income. Only in a few cases, victims or their families received large payments.

Many people argued at that time that workers received higher wages in recognition of accepting the associated risk posed by more dangerous jobs. However, in reality, very few workers had the opportunity or awareness to purchase accident or life insurance, and workers with poorer education and information were not even aware of the importance and availability of such insurance.

The embracing of workers' compensation laws was thought to have benefited all quarters to some extent. Employers were happy since workplace liability insurance premium costs were starting to rise because of increases in incidents of accidental injuries and the introduction of state legislatures adopting employer liability laws provided them some relief. On the other hand, the increasing waits, complexities, and volatility of injured workers having to prove carelessness on the part of their employer before they could retrieve medical expenses and lost wages motivated the workers to accept a compromised but certain amount.

In many US states, certain employers-- small employers (those who employ fewer than 3 to 5 employees), agricultural (farm) workers, and domestic servants (usually only those employed in or about a private home) are not required to provide workers' compensation benefits.

Bangladesh's test run with its version of the workers' compensation scheme (EII) and the initial steps to design and implement it will be greatly scrutinised by stakeholders and experts. Further legislative changes might be needed to ensure the level of employers' contribution as a proportion of workers' payrolls. While there are undoubtedly many associated implementation-related challenges, an EII scheme should benefit the workers and employers of Bangladesh. The cost of such a programme should not come in the long run from 'voluntary contributions" or "donations" from Western brands and development partner countries and agencies. A home-driven solution must be developed to make this program sustainable.

...
ILO to introduce insurance scheme for RMG workers

The workers of readymade garment sector are going to come under the insurance coverage. The International Labour Organization (ILO) has been discussing the issue with the government for a while. Relevant sources said that the government also has a positive attitude in this regard. Initially, it will be launched on experimental basis among 150,000 workers. The ILO in association with the Deutsche Gesellschaft für Internationale Zusammenarbeit (GIZ) proposed two trial phases — the strengthening of capacities for existing short-term bene

...
Injury-based insurance for apparel workers in the offing

Bangladesh is set to introduce employment injury insurance (EII) in the country’s apparel sector to ensure workers' social protection and long term benefits, in case of workplace injury and/or death. An EII is a social protection system that includes compensation by in-kind benefits for medical treatment and rehabilitation services, as well as cash benefits for income loss caused by occupational injuries and diseases. It is not to be mistaken as a general health insurance, as it is only applicable for workplace-related accidents or illnesses. This issue of social protection and compensation against workplace injury came under spotlight following the Rana Plaza collapse in 2013 that killed 1,135 workers and about 2,500 injured. The International Labour Organisation (ILO) and GIZ, (German Development Cooperation) will provide technical cooperation in implementing the EII's test run. As per the stakeholders and sources at the ministry of labour and employment, the trial run is likely to begin from April later this year, and continue for five years up to 2026. It is set to run in two consecutive phases, firstly with the testing and collection of data on trial, and secondly, work on sustainable expansion of the said trial to full-fledged EII in the apparel sector. The first phase will cover at least 150,000 workers from 50-100 factories, reflecting on the current operational reality. Syed Zakir Hossain/Dhaka Tribune According to an estimation of ILO, the trial run would cost $7.40 million per year, of which $6.50 million will be spent for longterm benefits of workers and $900,000 for administrative costs. The cost of the trial is estimated at 0.13 per cent of the wage bill or 0.019 per cent of the export, and it would be less than $2 per worker. ‘Voluntary contributions’ from brands and other donor development partners and donor agencies during the trial’s length will cover the cost. The government has already formed a committee headed by Sakeun Nahar Begum, an additional secretary of the labour and employment ministry, to strategise how to implement the trial run. In the committee, there will also be representatives from the apparel sector and other stakeholders, who will be a part of the EII's trial run implementation. “We will hold a meeting by March 10 with the ILO and other stakeholders to discuss the issues and set the next course of action,” said Begum. However, she did not clear about the date of launching the EII trial run. Meanwhile, sector people and trade union leaders welcomed the initiative and expressed their eagerness to make it sustainable, for the sake of the workers and the sector in general. “This is a long pending issue and we understand that Bangladesh has initiated this formally. We had a series of discussions in the past with the ILO and other stakeholders on the technical issues and feasibility of the EII scheme,” said Rubana Huq, president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association. The apparel industry is already contributing a part of the export proceeds to workers’ welfare funds directly, and a portion of that is used to pay for death compensation and health of the workers, she also said. "We believe a pilot phase can be started to see how this multi-stakeholder approach functions, and can be scaled up from there," Huq said. Requesting brands to become a part of the scheme, the BGMEA president said that they must understand its importance. Unless it is an all-party endeavour, the practice may not be sustainable, she added. “It is a timely and good initiative for the betterment of the workers. We were demanding it for a long time,” said Nazma Akter, president of Sommilito Garments Sramik Federation. "As a trade union leader, I welcome the initiative and want to see workers' representatives to make it more successful," she added. Since 2013, the ILO has been working together with the Bangladesh and industry partners on improving working conditions in Bangladesh’s garment sector,ILO Country Director Tuomo Poutiainen told Dhaka Tribune. An EIS promoting prevention of accidents, adequate compensation and medical care and establishing paths for rehabilitation of workers who suffer from work related injuries or disease is an important part of improving protection of workers and businesses in the sector. It effectively protects employers from financial and reputational loss, and in extreme cases, closure of business, caused by industrial accidents. In case of work-related injuries and occupational diseases, current protection available for injured or disabled workers or family members of the deceased workers is limited in Bangladesh. So, there is clear interest and opportunity to build an adequate compensation and health care system in line with ILO convention C 121 “Employment Injury Benefits Convention, Poutiainen said. “An Employment Injury Scheme is not only important for the RMG sector, it is important for all workers and employers. The government has envisioned such a scheme in it’s National Social Security Strategy.” In case the worker suffers from permanent disability, she/he doesn’t become a liability to the family and society as the EIS provides for compensation throughout the contingency. The ILO convention suggests periodic payments adjusted with inflation; this also reduces risks that are associated with one time lump sum payment, said the UN body. Establishing an Employment Injury Scheme by the government and the industry will be a remarkable positive and concrete step in improving work related social protection coverage in Bangladesh, he added

Showing 55 to 63 of 66